গুগল এডসেন্স নিয়ে অন্যান্য লেখাগুলি থেকে নিশ্চয়ই ধারনা পেয়েছেন এটা থেকে কি করা সম্ভব, কিভাবে ভাল ফল পাওয়া যায়। এবারে বাস্তবে কিভাবে কাজটি করবেন জেনে নিন।
যে কোন ওয়েবসাইটের জন্যই এডসেন্স ব্যবহার করা যায়। এডসেন্স রেজিশ্ট্রেশনের জন্য তাদের ওয়েবসাইটে www.google.com/adsense যান নিজের নাম-ঠিকানা-সাইটের পরিচিতি দিন। গুগলের সাধারন নিয়ম হচ্ছে আপনি কেবলমাত্র নিজের চালু সাইট ব্যবহার করবেন। নিজস্ব সাইট না থাকলে এডসেন্স রেজিষ্টার করার সুযোগ পাবেন না। ব্যক্তিগত অথবা প্রতিস্ঠান হিসেবে দুধরনের একাউন্ট তৈরীর ব্যবস্থা রয়েছে।
তাদের নিয়মের বাইরে কিছু ঘটলে তারা আপনাকে এডসেন্স ব্যবহারের সুযোগ নাও দিতে পারে। যদি কারন না জানা থাকে তাহলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে কারন জানতে পারেন।
যে বিষয়গুলি তারা সমর্থন করে না তার সংক্ষেপে এধরনের;
. পর্নোগ্রাফি বা প্রাপ্তবয়স্কদের সাইট ব্যবহার করা যাবে না।
. অাক্রমনাত্মক, সহিংসতা ইত্যাদির প্রচার করা যাবে না।
. কপিরাইট আইন ভংগ করে এমনকিছু রাখা যাবে না।
. ক্লিক করার জন্য ভিজিটরকে অনুরোধ করা যাবে না।
. মাদক, মদ, সিগারেট এধরনের কোনকিছুর প্রচারনা, বিক্রি করা যাবে না।
. ভিজিটরদের বিরক্তি তৈরী করে এমন বক্তব্য প্রকাশ করা যাবে না।
নিজের নামে একাউন্ট তৈরীর পর এডসেন্স সন্ক্রান্ত যেকোন কাজের জন্য এই সাইট ব্যবহার করতে হবে। এডসেন্স লগ-ইন পেজে ইমেইল এড্রেস এবং পাশওয়ার্ড প্রয়োজন হবে। লগ-ইন করার পর আপনার একাউন্টের তথ্য থেকে শুরু করে এড সেটিং এর বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন।
যে কোন সময় কোন তথ্য জানা প্রয়োজন হলে হেল্প লিংকে ক্লিক করতে পারেন। নতুন ব্যবহারকারীকে একবারেই সবকিছু শিখে নিতে হবে এমন কথা নেই।
পছন্দমত এড লেআউট বাছাই
এডসেন্স এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু মাপ রয়েছে। ব্যানার, মিডিয়াম রেকট্যাঙ্গল, স্কাইস্ক্রাপার ইত্যাদি মাপের এডগুলি টেক্সটলিংক, ইমেজ কিংবা ভিডিও হতে পারে। ভিডিও লিংকের ক্ষেত্রে ভিডিওগুলি আপনার সাইটে জমা হবে না, ভিজিটর সেখানে ক্লিক করলে গুগলের সার্ভার থেকে প্লে হবে।
সাধারনভাবে টেক্সট এর ব্যবহার সবথেকে বেশি। এক ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। কোন ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করলে বেশি ক্লিক পাওয়া যায় তা পরীক্ষা করতে পারেন এবং যেকোন সময় পরিবর্তন করতে পারেন। এড সেটিং ঠিক করার পর তার প্রিভিউ দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।
বিজ্ঞাপনের জন্য পছন্দমত টেক্সট, রং ইত্যাদি পরিবর্তনের ব্যবস্থা রয়েছে। আপনার সাইটের সাথে মিল রেখে মানানসই রং ঠিক করুন।
সাইটে কোড যোগ করা
পছন্দমত পরিবর্তন করার পর Save and get code বাটনে ক্লিক করলে কয়েকলাইন কোড পাওয়া যাবে। এই এইচটিএমএল কোড কপি করে আপনার সাইটে ব্যবহার করতে হবে।
এড পারফরমেন্স পেজ
আপনার এডসেন্স বিজ্ঞাপনে কি পরিমান ক্লিক বা আয় হয়েছে জানার জন্য এই পেজ ব্যবহার করবেন। আপনি দিন-সপ্তাহ-মাস ইত্যাদি সময় হিসেবে রিপোর্ট পেতে পারেন। আপনার আয় কত, কোন সুত্রে সব তথ্যই জানা যাবে এখান থেকে।
টাকা পাওয়ার নিয়ম
আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার জমা হওয়ার পর গুগল আপনার নামে চেক লিখবে। শুরুতে ১০০ ডলার জমা হতে কয়েকমাস সময় লাগতে পারে। কাজেই কাজ শুরুর সাথেসাথেই আপনি টাকা পাবেন না। নিয়মিত টাকা জমা হতে থাকলে প্রতিমাসে আপনার নামে চেক পাঠানো হবে। সাধারন ডাক কিংবা কুরিয়ার মাধ্যমে চেক গ্রহন করতে পারেন। এছাড়া ইলেকট্রনিক মাধ্যমেও অর্থগ্রহন করা যায়।
আপনার একাউন্ট সেটিং পেজে লগ-ইন, প্রাপকের নাম-ঠিকানা, প্রাপ্তির মাধ্যম ইত্যাদি বিষয়ে পরিবর্তন করা যাবে।
ক্লিক সম্পর্কে সাবধানতা
লিংকে ক্লিক করলে টাকা আয় হবে একথা ভেবে যদি আপনি নিজেই সেই লিংকে ক্লিক করতে থাকেন তাহলে আপনার এডসেন্স রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হবে। গুগলের ফলস-ক্লিক যাচাই করার ব্যবস্থা রয়েছে। নিজে কিংবা পরিচিতদের দিয়ে ক্লিক করাতে চেষ্টা করবেন না।
অনেকে বছরে লক্ষ ডলার আয়ের কথা বলেন। যদি সাইটে বিপুল পরিমান ভিজিটর যায়, বিপুল পরিমান ক্লিক হয় তাহলে সেটা সম্ভব। বাস্তবে ওধরনের সংখ্যার ওপর নির্ভর না করাই ভাল। এই পদ্ধতিতে যা আয় করা যায় সেটা যথেষ্ট, এটা মনে করাই নিরাপদ।
এডসেন্স ব্যবহারের কিছু নিয়ম-কানুন
4/
5
Oleh
Check This Out